মধ্যপ্রাচ্যে তার বেশ কয়েকদিনের সফরের প্রথম পর্বে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক ব্লিংকেন শনিবার তুরস্কে পৌঁছেছেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখন্ডে মানবিক সহায়তা সরবরাহ সহজ করার জন্য তীব্র কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। এর মধ্যেই ব্লিকেনের এই সফর হচ্ছে। তাছাড়া ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা কমাতে ইসরাইলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর চেষ্টাও চলছে এই সফরের সময় ।
ব্লিংকেন প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে ইস্তাম্বুলে বৈঠক করেন। গাজার যুদ্ধের উত্তেজনা ও মানবিক সংকট নিরসনে তুরস্ক ও এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশ কিভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আশা করা হচ্ছে গাজার পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় তুরস্কের অংশগ্রহণ নিয়েও আলোচনা করবেন ব্লিংকেন।
৭ অক্টোবরের সেই হামলার পর ব্লিকেনের এটা চতুর্থ মধ্যপ্রাচ্য সফর। এর মধ্যেই যুদ্ধ তৃতীয় মাসে গড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ব্লিংকেন গ্রীস , জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইসরাইল, পশ্চিম তীর ও মিশর সফর করবেন বলে জানা গেছে। তিনি এ সব দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্লিংকেন মানবিক সহায়তা বাড়ানোর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন। এর মধ্যে রয়েছে গাজায় প্রবেশের জন্য খাদ্য, পানি, ওষুধ ও বাণিজ্যিক পণ্য সরবরাহের জন্য অনুমতি পাওয়া ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানো।
সেই সাথে তিনি বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য চলমান প্রচেষ্টাও জোরদার করবেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিাঞ্চলে হামাসের আক্রমণে প্রায় ১,২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৪০ জন জিম্মি হয়। আর এরই প্রতিক্রিয়ায় , গাজায় হামাসের শাসনের অবসান ঘটাতে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইল।
অপরদিকে, গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের সামরিক অভিযানে গাজা ভূখন্ডে কমপক্ষে ২২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের সংবাদদাতা নাইকি চিং এই প্রতিবেদনে অবদান রেখেছেন। রয়টার্স এবং এপি থেকে কিছু তথ্য নেয়া হয়েছে।