ইসরাইলি হামলায় গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ১০ জন নিহত

গাজার দক্ষিণাঞ্চল রাফায় ইসরাইলি হামলার পর ক্ষতিগ্রস্ত একটি আবাসিক ভবনের দিকে তাকিয়ে আছেন ফিলিস্তিনিরা। (১০ জানুয়ারী,২০২৪)

নতুন করে শুরু হওয়া ইসরাইলি সামরিক হামলায় গাজা ভূখন্ডের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে।

বুধবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা মধ্য গাজার মাগাজি এলাকা এবং ফিলিস্তিনি ছিটমহলের দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকায় ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। তারা নিহতদের “সন্ত্রাসী” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ।

গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাতভর হামলায় ৭০ জন নিহত ও ১৩০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে কতজন বেসামরিক বা কতজন যোদ্ধা এর আলাদা কোন তথ্য মন্ত্রনালয় জানায় নাই।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন যুদ্ধের বিস্তার রোধসহ একাধিক উদ্দেশ্য নিয়ে এই অঞ্চলে দ্রুত সফরের সময়ে পরি এই সহিংসতার ঘটনা ঘটল।

বেসামরিক হতাহতের ঘটনা রোধ এবং গাজায় ত্রাণ সরবরাহ সহজতর করার জন্য ইসরাইলের ওপর চাপ বৃদ্ধির চেষ্টা করেছেন ব্লিংকেন। সেই সাথে তিনি হামাসের হাতে আটক অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করার প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করেছেন। তাছাড়া গাজার যুদ্ধোত্তর শাসন ব্যবস্থা এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি অব্যাহত রাখার উপায় নিয়ে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন তিনি।

হামাসের হাতে আটক ১২৯ জন জিম্মিকে মুক্ত করার জন্য এবং ইসরাইলের প্রতি ঐ জঙ্গি গোষ্ঠীটির হুমকির পরিসমাপ্তি ঘটাতে সেনাবাহিনী আরও কয়েক মাস লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলি কর্মকর্তারা। এ অঞ্চলে হামাসের নিয়ন্ত্রন নিশ্চিহ্ন করে দেয়াই তাদের উদ্ধেশ্য।

হামাস ৭ই অক্টোবরে ইসরাইলে হামলা করে প্রায় ১,২০০ লোককে হত্যা করে এবং ২৪০ জনকে জিম্মি করে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

অপরদিকে, হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণে প্রায় ২৩ হাজার ৩০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এ অঞ্চলের প্রায় ২৩ লাখ জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশই বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এ এফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।