জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের এক সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিনজন আমেরিকান সৈন্য নিহত হওয়ায় হোয়াইট হাউস সোমবার বলেছে, এই হামলার “কড়া জবাব” দেবার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই হামলার দায় চাপিয়েছেন ইরান সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির উপর। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি সিএনএন-কে বলেন, বাইডেন এর “জবাব দেবেন।” তবে, আমেরিকা কবে ও কোথায় হামলা চালাবে তার কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।
কারবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র “ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। আমরা মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর সংঘাত চাইছি না।”
গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইল ও হামাস জঙ্গীদের মধ্যে প্রায় চার মাস ধরে চলা যুদ্ধের আবহে শনিবার রাতের হামলায় এই প্রথম জর্ডানের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য নিহত হলো বলে ধারণা করা হয়। যদিও মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে আমেরিকার সৈন্যরা বহুবার গোলাগুলির সম্মুখীন হয়েছে।
কংগ্রেসে কয়েকজন রিপাবলিকান সমালোচক ইরানের উপর সরাসরি আঘাত হানার আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টকে। তবে, এই ধরনের হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে দ্রুত যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কম্যান্ড জানিয়েছে, সিরিয়ার সীমান্তের কাছে জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ওই হামলায় আরও ৩৪ জন আমেরিকান সৈন্য নিজেদের বাসভবনে আহত হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে। এ দেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা এই মন্ত্রকের মুখপাত্র নাসের কানানির বক্তব্য উদ্ধৃত করেছে, “ফিলিস্তিনি জাতিকে কীভাবে সমর্থন করবে বা সে দেশের মানুষদের কীভাবে রক্ষা করবে প্রতিরোধী গোষ্ঠীগুলি, তাদের সেই সিদ্ধান্তে ইরানের কোনও ভূমিকা নেই।”
রবিবার সাউথ ক্যারোলাইনাতে এক প্রচারসভায় বাইডেন বলেন, “আমরা পাল্টা জবাব দেব।” এরপর তিনি কয়েক মুহূর্ত নীরবতা পালন করতে বলেন।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের বক্তব্য অনুযায়ী, ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধী দল এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। প্রসঙ্গত, কাতাইব হেজবুল্লাহ, হারাকাত হেজবুল্লাহ আল-নুজাবা ও অন্যান্য ইরান সমর্থিত জঙ্গিরা ইরাকের এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
জর্ডানের সরকারি সংবাদ সংস্থা পেত্রায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই দেশটি সিরিয়ার সীমান্তে এক ঘাঁটিকে নিশানা করে এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করেছে।
জর্ডান সরকারের মুখপাত্র মুহম্মদ মুবাইদিন যুক্তরাষ্ট্রকে শোকবার্তা জানিয়ে বলেছেন, এই হামলায় “জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।”