গাজায় অভিযানে কয়েক ডজন জঙ্গি নিহত, বলছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী

ছবির ক্যাপশনঃ গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ থেকে তোলা একটি ছবিতে ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ইসরাইলি বোমা হামলার পর খান ইউনিসের ভবনগুলোর ওপর ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।

সোমবার ইসরাইলের সেনাবাহিনী গাজা ভূখণ্ডে কয়েক ডজন জঙ্গিকে হত্যা করার খবর দিয়েছে। এই সংবাদ এমন এক সময়ে আসলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন লড়াইয়ে নতুন করে বিরতির জন্য চাপ দিতে এই অঞ্চলে ফিরে এসেছেন।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গত দিনের অভিযানের মধ্যে রয়েছে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসে বিমান হামলা ও স্থল যুদ্ধ এবং গাজার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে হামলা।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, খান ইউনিস এলাকায় তীব্র লড়াই বেসামরিকদের আরও দক্ষিণে রাফার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গাজার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ইতোমধ্যে রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজার ৭৫ শতাংশ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে এবং গাজার জনগণ 'খাদ্য, পানি, আশ্রয় ও ওষুধের তীব্র ঘাটতির' মুখোমুখি হচ্ছে।

প্রস্তাবিত সাময়িক যুদ্ধবিরতির অধীনে হামাস জঙ্গিদের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করা হবে।

মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে আলোচনায় প্রস্তাবটি উঠে আসার পর এক সপ্তাহ ধরে হামাস নেতারা বিষয়টি বিবেচনা করছেন।

ব্লিংকেন এই সফরকালে সৌদি আরব, মিশর, কাতার, ইসরাইল ও পশ্চিম তীরে যাত্রাবিরতির কথা রয়েছে।

ইসরাইলের হিসাব অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার করে ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে, হামাসও প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করেছে।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের বিমান ও স্থল সামরিক অভিযানে ২৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬৬ হাজার আহত হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।