গাজায় আটক জিম্মিদের পরিবার হামাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে আন্তর্জাতিক আদালতকে চাপ দিচ্ছে

ফাইল ছবি—হামাসের যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি হয়েছেন এমন কিছু মানুষের ছবির সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক নারী ও এক শিশু।

অক্টোবর মাসে হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর সময় তাদের হাতে আটক জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের একটি দল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার আহ্বান জানিয়েছেন।

জিম্মি ও নিখোঁজদের পরিবারগুলোর এক ফোরাম বুধবার হেগে অবস্থিত এই আদালত পরিদর্শনের সময় বলেছে, তারা “জিম্মি গুম, যৌন সহিংসতা, নির্যাতন ও আরও গুরুতর অপরাধে অভিযোগ” আনার জন্য সুপারিশ করবেন।

৭ অক্টোবরের হামলায় সশস্ত্র সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে এবং ইসরাইলের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে।

নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় ১০০ জনেরও বেশি জিম্মি মুক্তি পান। ইসরাইল বলছে, প্রায় ৩০ জন গাজায় মৃত্যুবরণ করেছেন অথবা তাদের হত্যা করা হয়েছে।

নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে কায়রোতে আলোচনা চলছে যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল মঙ্গলবারের এক অধিবেশন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল, কাতার ও মিশরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দ ইসরাইলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে যাতে তারা খান ইউনিসের প্রায় নয় কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত রাফাহ শহরে হামলা না চালায়। কারণ সেখানে যুদ্ধ থেকে বাঁচার জন্য অসংখ্য ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত সংস্থার প্রধান ভলকার তুর্ক হুশিয়ারি দেন, “মিশরীয় সীমান্তের কাছে রাফাহ শহরে ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি কোনোমতে অবস্থান করছে এবং তাদের আর কোথাও পালিয়ে যাওয়ার উপায় নেই”।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, “আমি আশা করছি জিম্মিদের মুক্তি ও সহিংসতা থামার দরকষাকষি সফল হবে, যাতে রাফার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক হামলা এড়ানো যায়, যেখানে (এই অঞ্চলের) মানবিক সাহায্য ব্যবস্থার মূল কেন্দ্র অবস্থিত। এর অন্যথা হলে মারাত্মক পরিণতি হবে”।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।