হামাস আলোচকদের কায়রো ত্যাগ, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আগামী সপ্তাহে ফের আলোচনা

গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসে ইসরাইলের বোমায় বিধ্বস্ত বাড়িঘরের মধ্য দিয়ে নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। ৬ মার্চ, ২০২৪।

হামাস বৃহস্পতিবার বলেছে, তাদের প্রতিনিধিদল কায়রো ত্যাগ করেছে এবং আগামী সপ্তাহে পুনরায় আলোচনা হবে। ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতে নতুন করে যুদ্ধবিরতির জন্য কায়রোতেই আপোস-রফা ও সমঝোতা করতে হাজির হয়েছিলেন হামাসের প্রতিনিধিরা।

প্রায় ছয় সপ্তাহ যুদ্ধ স্থগিত রাখতে, গাজায় জঙ্গিদের হাতে পণবন্দি ও ইসরাইলের কারাগারে বন্দি কয়েকজন ফিলিস্তিনির মুক্তির পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের কয়েক সপ্তাহব্যাপী উদ্যোগের পর হামাসের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়।

ইসরাইল তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হামাস দাবি জানালেও ইসরাইল তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরাইল জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ। ইসরাইলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওই হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছে।

হামলার সময় আটক করা জিম্মিদের প্রায় ১০০ জন ও আরও ৩০ জনের দেহাবশেষ এখনও ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের ঘেরাটোপে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাংশে হানা দিয়ে জঙ্গিদের সদর দফতর ধ্বংস করা হয়েছে।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, ইসরাইলের সৈন্যরা খান ইউনিস এলাকায় অভিযান চালিয়েছে এবং একটি অস্ত্র-কারখানা চিহ্নিত করেছে।

সামরিক বাহিনী বলেছে, গতকাল গাজার মধ্যাঞ্চলে ইসরাইলি অভিযানে প্রায় ১০ জন জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি বিষয়ক জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত মানবিক সমন্বয়ক বুধবার বলেছেন, মিশর ও গাজার সীমান্তে অবস্থিত রাফার কাছে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ভয়ে এই এলাকা ত্যাগ করতে শুরু করেছে কারণ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রমজান মাসে সামরিক অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

জেমি ম্যাকগোল্ডরিক সংবাদদাতাদের বলেন, “তারা উত্তরে দেইর বালাহতে ফিরে গেছে, কেউ কেউ খান ইউনিসে এবং অনেকে উপকূলের বালিয়াড়ি অঞ্চলে অবস্থিত আল মাওয়াসি এলাকায় চলে গেছে।”

ইসরাইল বলেছে, রাফাতে হামলার আগে তারা ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাবে, তবে তাদের কোথায় পাঠানো হবে তা তারা বলেনি।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।