মিয়ানমার সীমান্তে হাজার হাজার মানুষ আটক

Your browser doesn’t support HTML5

জালিয়াতির শিকার একদল মানুষকে এখানে কেকে পার্কের চত্বরে দেখা যাচ্ছে; এদেরকে মিয়ানমারে কাজের টোপ দিয়ে আনা হয়েছিল বা এরা পাচার হয়ে এ দেশে এসেছে।

উল্লেখ্য, কেকে পার্ক জালিয়াতদের একটা আড়ত; থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তে থাকা এই স্থান মানবপাচারের একটি কেন্দ্র। এটি পরিচালনা করে একাধিক অপরাধী দল। মিয়ানমারে মিয়াড্ডিতে কারেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিএফ) নেতৃত্বে বহুজাতিক ধরপাকড় ও অভিযানের পর তারা ধরা পড়েছে।

মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলজুড়ে হাজার হাজার মানুষ এমন নারকীয় পরিস্থিতিতে আটকে রয়েছে।

তারা একসময় সাইবার জালিয়াত হিসেবে কাজ করেছে; তাদের সেই আগের জীবন থেকে উদ্ধার হওয়ার পর অনেকে এখন প্রত্যাবাসনের অপেক্ষা করছে।

গত মাসে থাই, চীনা ও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের এক নাটকীয় ও বহুল প্রচারিত অভিযানে তালাবদ্ধ ভবন থেকে ৭ হাজারের বেশি মানুষকে মুক্ত করা হয়; আমেরিকান বা অন্যান্যদের সারা জীবনের সঞ্চয় আত্মসাৎ করে নিতে এদের বাধ্য করা হত সেখানে।

তবে, নিগৃহীতরা দেখছে যে, পুনরায় তারা আটকে পড়েছে। এবারে তাদের যেখানে রাখা হয়েছে, যেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবা নেই, খাদ্যের পরিমাণ সীমিত এবং কবে তাদের বাড়ি পাঠানো হবে সে সম্পর্কে তাদের কোনও ধারণা নেই।

আইনজ্ঞরা বলছেন, এটা একটা মানবিক সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিগৃহীতদের পাহারায় রয়েছে একাধিক সশস্ত্র বাহিনী; তারা ও সীমান্তের থাই কর্মকর্তারা বলছেন, আটক ব্যক্তিদের বাড়ি ফেরত পাঠাতে তাদের দেশের সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপের অপেক্ষা করছেন তারা।

আটক হওয়া ব্যক্তিদের অনেকে উচ্চশিক্ষিত ও ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী; প্রাথমিক ভাবে তাদের লোভনীয় দাপ্তরিক চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাইল্যান্ডে নিয়ে আসা হয়। তারপর তারা দেখে যে, সীমান্তবর্তী একাধিক ভবনে তাদের তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, জালিয়াতি চালাতে দৈনিক ১৬ ঘন্টা পর্যন্ত তাদের কম্পিউটারের সামনে জোর করে বসিয়ে রাখা হত।

কাজ করতে অস্বীকার করলে মারধর ও বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হত; অনাহারেও রাখা হত।

অতিমারির সময় থেকে এই অঞ্চলে জালিয়াতি কেন্দ্রগুলি গজিয়ে উঠেছে; অপরাধী চক্রের বিস্তারের বিরুদ্ধে সরকার ন্যূনতম সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়েছে।