ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইসরায়েল ও হামাস তৃতীয়বারের মতো জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের সময় তিনজন ইসরায়েলি, পাঁচজন বিদেশি নাগরিকসহ আটজন জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি সৈনিক আগাম বার্গারকে গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে রেড ক্রসের কাছে তুলে দেয়া হয়। তারপর সে ইসরায়েলে চলে যায়। সেখানে তাকে তার বাবা-মায়ের সাথে পুনরায় একত্রিত করা হয়।
বার্গারের পরিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমরা এই মুহূর্তে পৌঁছেছি এবং আমাদের হিরো আগাম ৪৮২ দিন শত্রুদের হাতে থাকার পর আমাদের কাছে ফিরে এসেছেন।” “এখন আগাম এবং আমাদের পরিবার নিরাময় প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে, তবে সমস্ত জিম্মি বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত পুনরুদ্ধার সম্পন্ন হবে না।”
এর কয়েক ঘণ্টা পর রেডক্রসের একটি গাড়িবহর গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে বিশৃঙ্খল, জনাকীর্ণ দৃশ্যের মধ্য দিয়ে অন্য দুজন ইসরায়েলি ও থাই নাগরিককে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী নিশ্চিত করেছে, এরপর দলটি ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। এতে তারা মুক্ত ইসরায়েলিদের আরবেল ইয়েহৌদ ও গাদি মোজেস এবং থাইদের থেন্না পংসাক, সাথিয়ান সুওয়ান্নাখান, শ্রীআউন ওয়াচারা, সিথাও বান্নাওয়াত ও রুমনাও সুরাসাক হিসেবে চিহ্নিত করে।
সামরিক বাহিনী জানায়, ইসরায়েলিদের তাদের পরিবারের সাথে পুনরায় একত্রিত করা হবে এবং থাই সরকারের কর্মকর্তারা তাদের নাগরিকদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
চুক্তির অংশ হিসেবে ১১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে ইসরায়েলের মুক্তি দেয়ার কথা ছিল।
এর আগে গাজায় জঙ্গিদের হাতে আটক সাতজন জিম্মি এবং ইসরায়েলের হাতে আটক ৩০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
হামাস শনিবার আরও তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে। ইসরায়েল আরও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।