অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে, বলছে রাশিয়া


ফাইল ছবি—ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে বৈঠকের শুরুতে হাত মেলাচ্ছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।১৬ জুলাই, ২০১৮।
ফাইল ছবি—ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে বৈঠকের শুরুতে হাত মেলাচ্ছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।১৬ জুলাই, ২০১৮।

রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে, যার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মস্কোকে পশ্চিমা দেশগুলোর একঘরে করে রাখার নীতি থেকে নাটকীয় ভাবে সরে আসার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমকে সের্গেই রিয়াবকভ জানান, পুতিন-ট্রাম্পের সম্ভাব্য বৈঠকে শুধু ইউক্রেন যুদ্ধ নয়, বৈশ্বিক নানা বিষয়ে বৃহত্তর পরিসরে আলোচনাও হতে পারে।

তিনি বলেন, “এখানে প্রশ্ন হলো আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার উদ্যোগ শুরু করা, সবচেয়ে সূক্ষ্ম ও সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতিগুলোর নিরসন করার উপায় বের করা । ইউক্রেন পরিস্থিতি সহ এ ধরনের অসংখ্য বিষয় রয়েছে”।

তবে তিনি জানান, এ ধরনের একটি বৈঠকের আয়োজনের উদ্যোগ প্রারম্ভিক পর্যায়ে রয়েছে এবং এর বাস্তবায়ন করতে হলে “সর্বোচ্চ মাত্রার বিস্তারিত প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের” প্রয়োজন।

রিয়াবকভ বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা “আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে” দুই দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও আলোচনার পথ সুগম করতে বৈঠক করতে পারেন।

সৌদি আরবে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের মতে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে এক অসামান্য রূপান্তর ঘটিয়েছে, ওই বৈঠকে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও নিজেদের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে কাজ শুরু করার বিষয়ে একমত হন।

বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এপি’কে বলেন দু পক্ষ মোটামোটি তিনটি লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে সহমত হন : ওয়াশিংটন ও মস্কোতে তাদের নিজেদের দূতাবাসগুলিতে লোক নিয়োগ আগের মতো ফিরিয়ে আনা; ইউক্রেনের শান্তি আলোচনায় সহায়তা প্রদানের জন্য উচ্চ পর্যায়ের টিম গঠন; এবং আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাবনা সন্ধান করা।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, অন্যান্য জ্যেষ্ঠ রুশ ও আমেরিকান কর্মকর্তাদের মধ্যে আয়োজিত এই বৈঠকের বিষয়ে তিনি জোর দিয়ে জানান, এই আলোচনার মাধ্যমে সংলাপ শুরু হয়েছে মাত্র এবং আরও অনেক কাজ বাকি আছে। অপরদিকে, লাভরভ এই বৈঠকটিকে “খুবই কার্যকর” বলে উল্লেখ করেন।

ওই বৈঠকে ইউক্রেনের কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। মস্কো তাদের অপেক্ষাকৃত ছোট প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে প্রায় তিন বছর আগে পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর বর্তমানে দেশটি (ইউক্রেন) ধীরে, কিন্তু ক্রমশই রাশিয়ার সংখ্যায় আরও বড় সেনাবাহিনীর কাছে পরাস্ত হচ্ছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি জানান, তার দেশ এসব আলোচনা থেকে উদ্ভূত কোনো সমাধান গ্রহণ করবে না, কারণ এগুলোতে কিয়েভ অংশ নেয়নি।একইসঙ্গে তিনি সৌদি আরবে গত বুধবার তার নির্ধারিত সফর স্থগিত করেন।ইউরোপের মিত্ররাও উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে যে তাদেরকে পাশ কাটানো হচ্ছে।

XS
SM
MD
LG